ভালবাসা নামক ভয়ানক বিষে আমার শরীর জর্জরিত।আমার শরীরের প্রতিটি রক্তকণায় আজ ভালবাসা নামক বিষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে। বাঁচতে খুব ইচ্ছা হয় আবার জীবনের প্রতি ঘৃণাও জন্মেছে অনেক। অনেক ইচ্ছাই তো অপূর্ণ্য থেকে যায়। তারপরও ইচ্ছা করে তোমাকে নিয়ে বসবো কোন এক অজানা, অচেনা নির্জন জায়গায়। যেখানে পাখিদের কলরবে মুখরিত হবে চারিপাশ। প্রকৃতি তার সবটুকু সৌন্দর্য্য দিয়েই সাজিয়ে রাখবে জায়গাটি । প্রিয় মানুষের হাতে হাত রেখে আমৃত্যু পথ চলার অদম্য বাসনা আমার। আমি হেঁটে যায় আর পাশে তোমার আলতো ছোঁয়া অনুভব করি। অনুভব করি তোমাকে, তোমার স্পর্শকে। কল্পনায় ভাবি তুমি আর আমি পাশাপাশি হাত ধরে হাঁটি। যতক্ষন কল্পনায় থাকি ততক্ষণ বিষের যন্ত্রণাটা অনুভব করতে পারিনা। আর যখনই বাস্তবিক রুপে এই বিষাক্ত মন তোমাকে দেখতে চায়, আর তোমার হাতের আলতো ছোঁয়া পেতে চাই, ঠিক তখনি ঐ ভালবাসা নামক ভয়ানক বিষের যন্ত্রণা অনুভব করি।কারণ তোমাকে তো আমি আমার কল্পনায় পেয়েছি বাস্তবে তো নয়। ক্রমশ বিষের যন্ত্রণা বেড়েই চলেছে। শেষ হবে কি না জানি না তবে মৃত্যু পর্যন্ত তোমার দেয়া যন্ত্রণা ভোগ করতে চাই।
কে জানে কে তুই ? কে জানে কে তুই, রাত দিন তোকেই শুনি, স্বপ্নে শুধুই তোকেই ছুঁই। ফেইসবুক থেকে বেরিয়ে যেদিন এবুকে এলি, থমকে গিয়েছিল অতীত ব্যর্থ প্রেমের পিছুটান, থমকে গিয়েছিল ট্রাফিক সিগনালে বেজে ওঠা রবি ঠাকুরের গান, থমকে গিয়ে ছিল আরও অনেক কিছু। কে জানে কে তুই, ছাড়লাম সব কালো, তোরই কারনে, তোরই কারনে বন্য শহরটাকে অন্য লাগে তোরই বারনে, তোরই বারনে বোবা ডাইরি ফিরে পেলো ভাষা, সে ভাষায় ওকে ভাষা কয়। কে জানে কে তুই, কে জানে কে তুই, কে জানে কে তুই। আজ আর পিছু ডাকবোনা তোমায়, বলবোনা কেমন আছো, শুধু এটুকু জানি, তুমি আজ রাজরানী হয়ে, লিখছো নতুন জীবনের কাহিনী। বেশ কয়েকটা বছর হয়েছে পার, তুমি ছেড়েছো আমার এ হৃদয় সমুদ্র পাড়, তবু এ সমুদ্রে ঢেউ ওঠে নোনা জলে ঝাঁপ দেয়, দু'চোখ ঝাঁপসা দেখে এই পুরনো পৃথিবীটাকে, আর অতীত স্বপ্ন গুলো এলোমেলো হয়ে ভীড় করে এসে, ভীড় করে এসে আমার ভাবনার রাতের আকাশে, জানি, এরাতে এখন তুমি, তোমার প্রিয়জনের সাথে, অনুভুতির দেশে।